Posts

Showing posts from 2017

ঈশ্বরের শাস্তি হোক

ক্ষমা করো আমি অনির্বাণ এখনও ছাইয়ের পাশে হাত রেখে বেঁচে আছি..... সবচে' অদ্ভুত লাগে যখন অন্ধ আলোকে মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে শ্বাসভ্রম ভিরমিতে অশুদ্ধ শব্দরাশি মেঝেতে গড়ায় কিংবা... "চুপ শুধু চুপ"-এই ভৌতিক আওয়াজ লাল চোখে এসে বিঁধে দুই কানে সতর্ক প্রহরীর জ্বলন্ত চাবুক... বুঝি আমি বন্দি আছি প্রহরা বেষ্টিত দেয়ালের রিক্ত প্রেমে চুমু খেয়ে ভাসি জলে তুলে নেই এই ঠোটে অনিচ্ছ তোমার ভাষা আর তখন-- আমি আর আমার নই সকলই তোমার অসাধ্য অরণ্য প্রেমে ডেরা সাজে স্তব্ধ হয় নীলকণ্ঠ অগাধ বিশ্বাস.... বিশ্বাসের ডানা জুড়ে ব্যপ্ত হয় স্বয়ং ঈশ্বর তারপর -........ ঈশ্বরের শাস্তি হোক    স্বাধ্বীর কৃপায় ....

ঘাতকের পদধ্বনি

Image
রাণুর মা হঠাত এসে ডাক ছাড়লো-‘বাবু ! বাবু ! একটু দরজা খুলুন ।   চাকরির সুবাদে এখানে আসার পর থেকে সবাই আমাকে ‘বাবু’ বলে সম্বোধন করে। রাণূর মা তো প্রায় সময় আপন জনের মতন আসা যাওয়া করে। এক আত্মীয়তার বন্ধন ক্রমে ক্রমে সুদৃঢ হয়ে ওঠেছে সেই আসার পর থেকেই। আমিও অবসর কাটাতে ওদের ঘরে যাই। চা জলযোগ তো নৈমিত্তিক ব্যাপার। মাঝেমাঝে রাণুকে পাঠের দু একটা কঠিন বিষয় সমাধান করতে সাহায্য করি। এতে অন্তরঙ্গতা আরও বেড়ে উঠেছে।আজ হঠাৎ মাসি হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে ডাক ছাড়ছে কেন ? ভাবলাম হয়তো টাকা পয়সা ধার চাইতে এসেছে। দরজা খুলে দিয়ে বললাম-কী হয়েছে মাসি ? আমাকে কোন উত্তর না দিয়ে বলল- শিগগির চলুন আমাদের বাসায় কাজ আছে । -          কী কাজ ? কারো অসুখ বিসুখ নাকী ? -          না না গেলে দেখবেন । তাড়াতাড়ি চলুন। দরজায় তালা লাগিয়ে অগত্যা তার পেছনে পেছনে চললাম। কোয়ার্টার থেকে ওদের বাসা বেশি দূরে নয় এক ফার্লং হবে । বাসায় পৌছে দেখি একটা যুবতী মেয়ে বারান্দায় বসে আছে । সামনে একটা ভাঙা সুটকেস। ফাঁক দিয়ে কিছু ফাটাটুটা কাপড় আর পলিথিনের পুটলা বেরিয়ে পড়েছে । রাণুর মাকে জিঞ্জেস করলাম- মাসি কী ব্যাপার? বল

সন্ধ্যার আঁচলে

সব শেষে একটা প্রার্থনা দাঁড়িয়ে থাকে পাখি চলে যাওয়ার পর অবশিষ্ট দানাটির মতো ছায়া ঘেরা সন্ধ্যার আঁচলে অনুভবে ধরা দেয় বিসর্জনের আগে অনিবার্য কাচের জানালা জুড়ে সকালের রোদে শালিক-চড়ুই ঠুকরায় নিজের ছবিতে নিরালায় নিজেকে খুঁজে অতৃপ্ত সন্ধানে প্রার্থনা হেসে ওঠে খিলখিল গগনের প্রান্ত রেখায়...

মাতালের কণ্ঠস্বর

Image
ঠোঙার শোভাবর্ধনে  আমার কিছু কবিতার কোলাজ মাঝে মাঝে বুকের ব্যথা বাড়িয়ে তুলে নিস্পৃহ স্পন্দনে-- যে চোখের ফোঁটায়  তোমার স্মৃতি ভেসে ওঠে একটি মৃত্যু নাকি অপমৃত্যু কবিতার খণ্ড খণ্ড করে যে আকাশ তা নিরন্তর অদেখার অদৃশ্য ভুবনে এক পরিচিত মাতালের কণ্ঠস্বর। জনমভর সাধনার ক্ষণিকের সৃষ্টি প্রবল খরার পর একটু বৃষ্টির মত তাকে খাঁচায় পুরে সংরক্ষনের  তীব্র প্রয়োজন অনস্বীকার্য কী অভাব- কীসের অভাব তাকে ঠোঙার অঙ্গদর্শনে ঠেলে নিয়ে যায় বাস্তবে কবিতা কখনও অহেতুক নয় পারিনা আমি তাকে তুলে রাখতে  কৌটো ভ্রমরে সোনার অলঙ্কার অতি সযতনে  তাই ওড়ে যায়- ডানাগজা পাখির ছানাটির মত দূরে কোন অজানা দিগন্তে হারিয়ে যায় বারবার আপনার বলয় ভেঙে অনেক অপথ মাড়িয়ে মাঝে মাঝে দেখা হয় বিধ্বস্ত মুড়ি বা  ডালমুটের সুস্বাদু কাগজে...।

কহতব্য

তড়িতের তার শূন্যে ঝুলছে সহস্র তারার আগুন ভেতরে কোন ফুলকি নেই -আলো নেই অথচ হাজার ঘরে চলছে তারের খেলা মাঝে মাঝে বাদুড় বা কাক ঝুলে থাকে বেগতিক স্প্র্শ আগুন চমকায় ঝরে পড়ে সহস্র ভল্টের উত্তাপ আমার বুকের গহীনে এমনি একটা তার ঝুলে থাকে... আঁধার খনি শুধু আমি জানি আর....অকহতব্য। -- আবু আশফাক্ব চৌধুরী।

প্রচ্ছদ

ভেতরের সমস্ত পাতা তোমার ভালবাসা আমি প্রচ্ছদ শোভা বর্ধনেষু... পাঠকরা পড়ে নিক নিবিষ্ট চিত্তে তুমি জিয়ে থাকো আমার দু বাহুর ডোরে...। -- আবু আশফাক্ব চৌধুরী।

অস্বীকার

Image
হাওয়া মোরগ ঘুরছে - অনর্গল বলে যাচ্ছে ঝড়ের পূর্বাভাস রোদের ফিনকি লেপটে আছে নীল শরীর জুড়ে... পথ চলায় কোন ব্যতিক্রম নেই সম্ভবত দৃষ্টি নির্ভর  বিবেচনা অস্বীকার করছে -তুরন্ত ঘোষণা....। -আবু আশফাক্ব চৌধুরী।

আনত ছায়ার খোঁজে

Image
রাতকানা গাছ থেকে একটা শিকারি বাজ একটানা চিৎকার করে যাচ্ছে কাঁপছে নদীর জল অনর্গল। দুরন্ত শামুকের খোলা ঠোঁট হেঁটে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে... হেলদোল নেই কোন আপাত পরিবর্তন।  আকাশের চোখ নির্নিমেষ চেয়ে আছে ফাঁটাফাঁটা জমির আর্তনাদ -"আল্লা মেঘ দ্যায় পানি দ্যায়"... কেউ কোথাও নেই অনশ্বর স্বর প্রতিটি মনের অলিন্দে অনিচ্ছায় গুমরে কাঁদে ঢেউ খেলে যায় আনত ছায়ার খোঁজে....। ----- আবু আশফাক্ব চৌধুরী।

উত্তর আধুনিক

Image
ধর্ষণ হোক উত্তর আধুনিক পিক ও পাপিয়ার প্রেম গাঁথা বন্ধ হোক নেমে যাই খোলা মাঠে এসো বিনুনীর ঘাটে লটকে থাক গর্বিত পৌরুষ মিছিলের অগ্রভাগে অর্ধনগ্ন নারী উড়াক বিজয় পতাকা পুরুষেরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখি সকল সম্পর্ক স্বরাজের মথিত নেশায় ভেসে যাক চোখ বন্ধ চাঁদ ধরা খেলা বীর্যপাতে কার কতটুকু তাই নিয়ে গর্ব হোক বেশরম লোকপ্রিয় হয়ে উঠুক উত্তর আধুনিক শ্লীল চেতনার মৃত্যু হোক। ভোক্তাদের দখলে চলে আসুক রডোডেন্ড্রণের কোমল পাপড়িগুলো ছিঁড়েখুঁড়ে মনের সানন্দে পূর্ণ হোক যতি ইভের প্রাক ইতিহাসে নতুন চিত্র আঁকা হোক আদমের অভিলাষে সরে যাক সকল প্রতিবন্ধকতা  ছবি- এম,এফ হুসেন।

শুভঙ্করের ফাঁকি

কথা হচ্ছিল চাঁদের গল্প নিয়ে সবে মিলে ছিঁড়েখুঁড়ে খাওয়া এমনি এক উথাল উলটো হাওয়া খণ্ড খণ্ড জ্যোৎস্নাকে নিয়ে যাচ্ছে বয়ে আমি তাৎক্ষণিক অনুভব করলাম রাশি রাশি অন্ধকার জ্যোৎস্নার নামে কেউ যেন পথ পাশে বিকিয়ে যাচ্ছে খামে আমরা অনর্গল তা-ই কিনতে লাগলাম ঠকলাম না ঠগ খেলাম হাত মেলে দেখি ছানাবড়া চোখগুলো বদলে যাচ্ছে ক্রমে কালযাপনের অন্ধকারটাই আলোর ভ্রমে বেশ মেনে নিচ্ছি ভাঙা পথ ছেঁড়া ছাতা ভাল লাগছে শুভঙ্করের ফাঁকি। 

নৈমিষারণ্যের হাহাকার

রাতের নির্জনতায় তোমার নৈশব্দ পদচারণা অস্বীকার করার জো নেই এক অবচেতনার চক্রব্যুহ মায়াবী আবহ সৃষ্টি করে জানাতে চায় তোমার উপস্থিতি। বোধে অনুভবে আমি শুধু বুঝে নেই তুমি কাছে আছো অথচ স্পর্শসুখে বিরহ কাতর এই মন হাতড়ে বেড়ায় দিগন্ত জুড়ে তোমার সন্ধানে প্রান্তিক ইশারায় নিজেকে সরিয়ে নাও আড়াল করে রাখো দূরে আরো অনুসন্ধিৎসু হওয়ার আকাঙ্খায় নৈমিষারণ্যের তুমুল অন্ধকারে জেগে ওঠে হাহাকার। 

রোদ্দুরের মাঠে

অনেক শুনেছি পোড়া কপালের গল্প যদিও কপাল পুড়তে দেখিনি কোনদিন  বলেছি সুখের কাহিনী ছা-বাচ্চাদের  পরিমিত সুখের সংসার... গল্পগুলো সবটাই স্বরচিত প্রতীকী সুখের ছিল চন্দ্র কলা ভেদ করে সে কোনদিন  পা রাখেনি এই পথে এই ঘরে  রোদ্দুরের মাঠে কিছু স্বপ্ন জমা থাকে  নির্বীজ নিরহংকারী জলের তোড়ায়  ভেসে যায় নিয়মিত... একটা পোড়া কপাল দেখেছি  -- আমারই  দগ্ধ হতে আগুন ছাড়াই....।