Posts

Showing posts from 2020

পলাতক ঈশ্বরকে খোঁজে

একটা মধ্য রাতের ভেতর দিয়ে হেটে যাচ্ছি মেঘের টুকরোর মতো অন্ধকার চারপাশে বিনয়াবনত সভ্যতা করজোড়ে প্রণিপাত করে খোঁজে ফিরে পলাতক ঈশ্বরকে হাত ধরতে চায় মানুষ  মানুষের কিছু অবুঝ রাস্তায় খেলে ঈশ্বর খেলা কার ঈশ্বর কার চেয়ে বড় প্রতিযোগিতা ঝলসে ওঠে  হিংস্র তরবারি অন্ধকার আরও গাড়ো হয় তমসাময় পৃথিবীর ছাদে।

সার্থক জীবন

জ্বলতে জ্বলতে নিভেই গেলাম তবুও দিলাম একটু আলো এইতো আমার সান্ত্বনা।

পাঁচে তিনে আট

সেই পাঁচে তিনে আটের মতো ধারাবহ শেখানো পথ অর্থ ও মর্ম নিয়ে পড়ে আছি মান্ধাতা কাকে বলে এখন বুঝেছি তার চেয়ে ভাল ছিল যদি ফসল ভরা মাঠটিকে বলতে পারতাম এ এক বিরাট নদী... এভাবেই সৃষ্টি হয় বিশ্বাস যার শ্বাসে ভর করে জ্বলে ওঠে তলোয়ার সন্দিগ্ধ রমণে কাটা পড়ে হাজার হাজার মাথা রক্তাক্ত সরোবরে বেঁচে থাকে বিশ্বাসের স্পর্ধা ভরা অকাট শরীর বোঁজা চোখে ধ্যান ও তন্ময়তা ফসলের মাঠকে নদীতে রূপান্তরিত করে সামলায় স্বর্গ ও নরকের ব্যবধান।

কে আমার আসল প্রেমিক

তিলোত্তমার জন্মকথা জানি অঙ্গভঙ্গি দেখে সঙ্গ দিতে ইচ্ছে হলেও ভয়কাতুরে মন পারিপার্শ্বিকের আড়চোখ দেখে সংযত করে উল্লম্ফন তবু বারবার  প্রেম প্রেম শব্দ মুখে জপে সাধ মেটাতে চায় এসব চুপিচুপি একান্ত আপন মনে... কেউ জানলো না আজও কার প্রেমিক আমি কে আমার আসল প্রেমিকা সেই প্রথম লেখা প্রেমপত্রের মতো আজও যা গোপনে রেখেছি আমি রঙহীন বর্ণহীন যতনে সুরক্ষিত।

এ কেমন ঝড় / আবু আশফাক্ব চৌধুরী

একটা ঝড়। মূহুর্তে সবকিছু তছনছ উপচে পড়া শেকড় তড়পাচ্ছে! তারপর হাসছে আকাশ। ভাসমান তারা যেন এখানে কেউ আসেনি একটু আগেও যার পদধ্বনি ছুটিয়ে ছিল বুকের কাঁপন তার উপস্থিতি বিশ্বাসই হয়না এ কেমন ঝড়! এ কেমন ভীষণ স্বপ্ন সশরীরে হঠাৎ উধাও! শুধু বুকের ভেতর খুঁড়ানো পাখির ডানা বটফল উড়ে আসা খড়কুটো ভাসায় প্রমাণ।

অনন্ত যাপনে ।।

-আবু আশফাক্ব চৌধুরী।। মাঝে মাঝে নিজেকে ভাগ ভাগ করে দেখি অনেক মন্দের পর কিছু কিছু ভালও রয়েছে অনেক মন্দের ভেতর ভালগুলো বিন্দু বিন্দু কচ্চিৎ ভাসে আমি কলার মান্দাসে বসে বিড়ি ফুকে ফুকে দীর্ঘ শ্বাস বুকে নিয়ে হিসাবে ব্যস্ত বস্ত্রহীন হওয়ার আগে যদি ভিড়ে যায় জলযান অকস্মাৎ অপূর্ণাঙ্গ তীরে আমি কার আশ্রয়ে বাসা গড়ি অনন্ত যাপনে! 

মুখোমুখি বৃষ্টিপাতে

আবু আশফাক্ব চৌধুরী।। দেবতারা স্বর্গভ্রষ্ট হলে - তারা খসে পড়ে  বদলে যায় আকাশের রঙ ধূসর হয় সবুজ প্রান্তর মুখোমুখি বৃষ্টিপাতে উত্তপ্ত হাওয়া ঘূর্ণিঝড় নেমে আসে নানা নামে - নদীর বাঁকে সাঁতার নাজানা লাশগুলো ভেসে ওঠে।  সবাই অচেনা আধ-খাওয়া মাছেদের খাদ্য নদীর তীরে পরিজন হাঁটাচলা করে বাঁক থেকে বাঁক ভিজে সজল অশ্রুরাশি ব্যস্তময় চোখ খুঁজে পরিচয় এই ভালবাসাবাসি ক্ষণিক পরে মিলিয়ে যায় সীমান্তে অস্তরত রাগ-ব্যাথা-প্রতিশোধ স্পৃহা -অন্ধভক্তির গ্লানি....।

অগোছালো ভোর

ভোর -ভোর- ভোর...... কলমের খোঁচায় পাঁঁচ বার শব্দটি লিখে লেগে গেল এক কানাঘোর মন্ত্রের মতো আওড়িয়ে যেতে যেতে শুনতে পেলাম প্রতিধ্বনি নেতিবাচক সুর এলো না ধারেকাছে শুধু আকাশটা রঙ বদলালো বারকয়েক সূর্যদানিতে তেল কমে গেছে নিষ্প্রদীপ অতর্কিত আভার পেরেক সাদামাটা মৃত্যুর মতো অগোছালো গমণ শেষে ভোর নেই শুধু অন্ধকার সদ্যোজাত নিভে যাওয়া আলো বোধ হয় এইই ভালো উৎকন্ঠায় জেগে থাকার মন্ত্র ললাটের কোণায় লেখা ছিল।

আঁধারের উথাল পাথাল।।

তাড়াহুড়োর আকাশ। কিম্ভুত পাখিরা ওড়ে যায় বাসায় বাসায় সূর্যাস্তের প্রতিধ্বনি ভালবাসার গান মৃতপ্রায় দেহ নিয়ে কাতরায় পথের কিনারে - কে ফিরে তাকায়? কেউ নেই  নির্জন শুধু আঁধারের উথাল পাথাল অন্ধকারে হাতড়ায় শামুকের মুখ উন্মুখ পদচারণায় খুঁজে ফিরে ন্যূনতম আশ্রয়।  শেওলার গায় লোমশ কাঁকড়ারা ওৎ পেতে বসে শত্রুর অপেক্ষায় বিদঘুটে গ্রহ পালটায় নব নব রঙে জেগে ওঠে আদিম  হাঙরের ক্ষুধা সীমিত স্বপ্নেরা তাড়া খেয়ে পালাতে চায় আবার জড়িয়ে ধরে বন্দিনী শেওলার গায় রাতের দুঃস্বপ্ন নিয়ে এমনিতে বেঁচে আছি হৃদয়ের অতলান্তে ডেকে যায় কালো পাখি নৈরাশ্যের কুয়াশা ভরা ডালে।