সেই মুখ সেই মেয়ে।।

সেই মুখ সেই মেয়ে।।  

আকাশ কী জেনেছিল তাকে কতটুকু ভালবাসি
তাকে নিয়ে এযাবৎ কতটা কবিতা লিখেছি 
সেই মুখ সেই মেয়ে যারা রোজ আসে আমার কবিতায় 
গভীর রাতের আঁধারে একা বসে বসে 
শব্দ আওড়ায়
আমি খেলা করি নি:সঙ্গ নির্জনতার বুকে 
তারা কী কোনদিন দেখেছিল উদগ্রীব চোখে 
তাদের শরীরের একএকটা অঙ্গ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম সারারাত 
একটা সুশৃঙ্খল জীবনকে বিনষ্ট করে খুঁজেছি কবিতার সূত্রপাত 
নেমেছে আপন হতে গঞ্জনার পাহাড় 
অসময়ে শরীর ব্যাথা ক্ষয়িত হাড়
দুর্ভোগের কণ্টকিত মালা জড়ায়েছি গলে
জীবনের মূহুর্তগুলোকে চর্বিত ঘাসের মতো দলে 
নিষ্ক্রমণ করেছি এক একটা অক্ষর 
ওরা জানলো না জানতে পারল না
উদাস নেত্রের এক আশিক দেওয়ানা 
তার সমস্ত বৈভব অকাতরে বন্ধক রেখে 
পুড়েছে ধূপের মতো 
তার সকল শংকা তার সমস্ত ভয়
একপাশে ঠেলে রেখে অকুতোভয় 
চরম সংকল্প নিয়ে হেঁটে গেছে বিপদসংকুল
কত রাত কতটা আঁধার কত প্রতিকূল
এক একটা তারার চোখ ঝরায়েছে অশ্রুর সাঁতার 
প্রতিবিম্বে  ফুটে ওঠে অনিশ্চয়তা কাতারে কাতার
তবুও দাঁড়িয়ে রয়েছি সাধনায় তুলে আনতে পবিত্র অমৃত 
যাদেরকে নিয়ে সাজাই কবিতা অক্ষরের প্রণিপাত 
তারা কোনদিন জানবেনা আমি এক হতভাগা কবি 
দুরন্ত ছন্দে এঁকে যাই ওদের জীবন্ত ছবি।  
 

Comments