Posts

যা কিছু লিখি

যা কিছু লিখি তোমার জন্য লিখি যা কিছু লিখি মৃত্যুর পরওয়ানা  জীবনের প্রেমপত্র হারিয়ে গেছে কৈশোরের আগেই  স্মৃতিতে উদ্ভাসিত শৈশব আর যৌবনের কাটাগাছ বার্ধক্যের এই মুহূর্তে সুহেলী সুহৃদের মতো  বিঁধতে থাকে হৃদয়ের অলিতে-গলিতে  সুখের নামেতে দুখের অনন্ত দহন তোষের আগুনের মতো আমার নিত্য সহচর  মানিয়ে নিয়েছি জীবনের পলে পলে এখন এসময় শরীরে হেলান দিয়ে বসে থাকতে হয় আমি তার নই সেও আমার নয় একদার জ্বলন্ত চোখ আজ নিভু নিভু  পড়ন্ত বেলার আলো মুখে পড়ে মশকরা করে তার চাহনিতে নতুন সরণীর ইঙ্গিত  আমাকে বিচলিত করে  ফিরে দেখি আমার কৈশোর আমার যৌবনের কারুকাজগুলো উজ্বল হয়ে ভাসছে। 

তোমারই বিজয় হোক।।

আবু সায়ীদ! আবু সায়ীদ!  কার সামনে এ বুক পেতে দিলে  তারা কি জানে এ বুকের ভেতর একটা আকাশ  মুক্তির গনগনে আঁচে জ্বলছিল তারা কি জানে এ বুকের প্রতিটি হৃদস্পন্দনে একটা দেশের মানুষের গণ দাবি লিখা ছিল । লিখা ছিল একটা স্বৈরাচারী সরকারের  উন্মাদনার প্রতিবাদ । তোমার বুকের মূল্য কী বুঝবে তাগুতের সন্তান ওরা গদি চায় মোহমন্ত্রে ঢেকে রাখে নৃশংস মুখ ভোটের হিসাব কষে ' কোটার' স্বেচ্ছাচারী ওরা জানেনা এ দেশে তোমার মত হাজারও যুবক জানকে বাজি রেখে গুলির মুখে বলে ওঠতে পারে তোমাদের অন্যায়কে বরদাস্ত করতে পারি না হঠকারিতার জবাবে আমাদের রক্ত নিয়ে আর খেলা করোনা ফিরিয়ে দাও অধিকার এ দেশ আমার  দেশকে রক্ষা করা আমাদের দায়ভার। আবু সায়ীদ! আবু সায়ীদ! তুমি যুবাদের মুক্তির মশাল আত্ম ত্যাগের মন্ত্র ফিরে এসো বারবার কালের রাখাল তাগুতের সংহারক।  সব দেশে সব কালে তোমারই বিজয় হোক।

উনিশের ভালবাসা

একটা উনিশ বুকের ভেতর আপন হারার যন্ত্রণা একটা উনিশ জাগিয়ে তোলে সংঘবদ্ধ মন্ত্রণা একটা উনিশ উদাস নয়ন খুঁজছে মনের ভাষা পলাশ ফুলের রঙ ঝরছে দারুন ভালবাসা একটা উনিশ কাঁপায় ভূমি শহিদ একাদশ একষটটির সে রণাঙ্গনে মানেনি আপোস বরাক জুড়ে আওয়াজ ওঠে বাংলা আমার মা রক্ত দেবো পরাণ দেবো জবান দেবোনা একটা উনিশ শুধুই জানে গান্ধীবাগের ভাষণ বছর পরে উর্দি পরে করে শহিদ স্মরণ একটা উনিশ চিরদিন আমার আত্ম পরিচয় একটা উনিশ গুছিয়ে দিলো আমার সকল ভয় উনিশ আমার বুকের গরব উনিশ চির অম্লান উনিশ আমার বুকে গাঁথা আজনমের গান বিশ্ব জুড়ে আওয়াজ ওঠে বাংলা ভাষার জয় বাঙালিরা সগৌরবে আজ বাংলায় কথা কয় 

চিলেকোঠা/ মোহাজির হুসেইন চৌধুরী

মনের ভেতর একটা ঘর ঘরের ভেতর একটা চিলেকোঠা চিলেকোঠায় আমার ব্যর্থ স্বপ্নরা কিলবিল করছে,ডানা ঝাড়ছে যেন এইমাত্র উডডীন হবে আমার দুচোখের কোণে লাবণ্যমাখা জল গড়িয়ে পড়ছে কুয়াশাচ্ছন্ন দৃষ্টি সম্মুখের পথ আর দেখা যায়না পা থমকে যেতে চায়....(০৮/০১/২০২৩)

ঠেলাঠেলি

এখানে জায়গা নেই তবু দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঠেলাঠেলি। শব্দ হয় তুমি সরে যাও যাবে কোথা ? রাম আর রহিমের বচসা সুদীর্ঘ কাল থেকে  । ওরাতো চলে যাচ্ছে ভিড়ের ভিতর থেকে ঝরে পড়ছে জপমালার দানার মতোন কেউই বেশি সময় দাঁড়াতে পারেনা । তবে ঠেলাঠেলি কেন? কাঁধে হাত রেখে বুকে বুক মিলিয়ে একসাথে  আকাশের চাঁদ দেখি । দেখি পাখি ও ফুল কুসুম রঙা ভোরের আলো এইতো ভালো। কবুতরের ডানার ছায়ায় বাসা বাঁধি । নয়ন জুড়ে ঝরুক সুখের বারি

ঈপ্সিত বৈভব

একটা প্রতিপক্ষ দাঁড়িয়ে থাকে পথের বাঁকে বাঁকে চেনা অচেনায় নিজের ছায়ার মতো ওদের আড়ালেই লুকিয়ে রয়েছে  আমার ঈপ্সিত বৈভব দিনকে রাত এবং রাতকে দিন করে হাঁটছি আমি বালুময় সৈকতে ওপারের খুঁজে  এক পা এগোলে দু পা পিছলে যায় মরীচিকা মধুময় হয়ে ডাকে হাতের ইশারায় পিপাসার অন্ত নেই জিভে অনন্ত খরা নববধূর মতো সেজে বসে আছে বসুন্ধরা চোখ টিপে টিপে জানায় গোপন ইঙ্গিতে সাজের আড়ালে বিষের পেয়ালা প্রেমিকের তরে সাজানো গোছানো অশুভ শঙ্কায় দ্রুত ধাবিত মন  ছজন প্রহরী বেষ্টিত আজীবন পথে পথে কাঁটা ঝাড় বিপ্রতীপ ঢেউ হাত ধরে পার করে নিবেনা কেউ  আমি একা হেঁটে যাই নিঃসঙ্গ আঁধার আমি কারো নই কেউ নয় আমার।