Posts

উনিশের ভালবাসা

একটা উনিশ বুকের ভেতর আপন হারার যন্ত্রণা একটা উনিশ জাগিয়ে তোলে সংঘবদ্ধ মন্ত্রণা একটা উনিশ উদাস নয়ন খুঁজছে মনের ভাষা পলাশ ফুলের রঙ ঝরছে দারুন ভালবাসা একটা উনিশ কাঁপায় ভূমি শহিদ একাদশ একষটটির সে রণাঙ্গনে মানেনি আপোস বরাক জুড়ে আওয়াজ ওঠে বাংলা আমার মা রক্ত দেবো পরাণ দেবো জবান দেবোনা একটা উনিশ শুধুই জানে গান্ধীবাগের ভাষণ বছর পরে উর্দি পরে করে শহিদ স্মরণ একটা উনিশ চিরদিন আমার আত্ম পরিচয় একটা উনিশ গুছিয়ে দিলো আমার সকল ভয় উনিশ আমার বুকের গরব উনিশ চির অম্লান উনিশ আমার বুকে গাঁথা আজনমের গান বিশ্ব জুড়ে আওয়াজ ওঠে বাংলা ভাষার জয় বাঙালিরা সগৌরবে আজ বাংলায় কথা কয় 

চিলেকোঠা/ মোহাজির হুসেইন চৌধুরী

মনের ভেতর একটা ঘর ঘরের ভেতর একটা চিলেকোঠা চিলেকোঠায় আমার ব্যর্থ স্বপ্নরা কিলবিল করছে,ডানা ঝাড়ছে যেন এইমাত্র উডডীন হবে আমার দুচোখের কোণে লাবণ্যমাখা জল গড়িয়ে পড়ছে কুয়াশাচ্ছন্ন দৃষ্টি সম্মুখের পথ আর দেখা যায়না পা থমকে যেতে চায়....(০৮/০১/২০২৩)

ঠেলাঠেলি

এখানে জায়গা নেই তবু দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঠেলাঠেলি। শব্দ হয় তুমি সরে যাও যাবে কোথা ? রাম আর রহিমের বচসা সুদীর্ঘ কাল থেকে  । ওরাতো চলে যাচ্ছে ভিড়ের ভিতর থেকে ঝরে পড়ছে জপমালার দানার মতোন কেউই বেশি সময় দাঁড়াতে পারেনা । তবে ঠেলাঠেলি কেন? কাঁধে হাত রেখে বুকে বুক মিলিয়ে একসাথে  আকাশের চাঁদ দেখি । দেখি পাখি ও ফুল কুসুম রঙা ভোরের আলো এইতো ভালো। কবুতরের ডানার ছায়ায় বাসা বাঁধি । নয়ন জুড়ে ঝরুক সুখের বারি

ঈপ্সিত বৈভব

একটা প্রতিপক্ষ দাঁড়িয়ে থাকে পথের বাঁকে বাঁকে চেনা অচেনায় নিজের ছায়ার মতো ওদের আড়ালেই লুকিয়ে রয়েছে  আমার ঈপ্সিত বৈভব দিনকে রাত এবং রাতকে দিন করে হাঁটছি আমি বালুময় সৈকতে ওপারের খুঁজে  এক পা এগোলে দু পা পিছলে যায় মরীচিকা মধুময় হয়ে ডাকে হাতের ইশারায় পিপাসার অন্ত নেই জিভে অনন্ত খরা নববধূর মতো সেজে বসে আছে বসুন্ধরা চোখ টিপে টিপে জানায় গোপন ইঙ্গিতে সাজের আড়ালে বিষের পেয়ালা প্রেমিকের তরে সাজানো গোছানো অশুভ শঙ্কায় দ্রুত ধাবিত মন  ছজন প্রহরী বেষ্টিত আজীবন পথে পথে কাঁটা ঝাড় বিপ্রতীপ ঢেউ হাত ধরে পার করে নিবেনা কেউ  আমি একা হেঁটে যাই নিঃসঙ্গ আঁধার আমি কারো নই কেউ নয় আমার।

আলিবাবা ও চল্লিশ চোর।।

মোহাজির হুসেইন চৌধুরী দুচোখ থেকে খোয়াব  নামিয়ে  রেখে এখন  শুয়ে পড়ি মৃণ্ময়ী  শরীর  পস্তায় মন পস্তায় দীর্ঘ পরিক্রমণ অথচ  হাতের মুঠোয় একটা  শূন্য হৃদয় শক্ত সুপারির গায় দন্তহীন  চাবাচাবি... সূর্যাস্তের খেয়ালি রেখাগুলি পথভ্রষ্ট  বালিকার  মতো ভালবাসা যাচে আলো খুঁজে অন্ধকার মন্বন্তরে হাজারও প্রশ্ন ধেয়ে আসে দিগন্তের বুক চিরে আমি  নির্বাক চলৎশক্তিহীন  যেন নিজেই এক অন্তহীন  রাত অস্পষ্ট  আলোয় দেখি আলিবাবা আর চল্লিশ চোরের খেলা পৃথিবীর বিশাল ক্যানভাসে গভীর রাতের বুকে মর্জিনার নৃত্যসখী কটিদেশে লুক্কায়িত ছোরা ছলনার অভিসারে বন্দী আছি অপেক্ষায় হননের ইশারা....

ইউক্রেন

মোহাজির হুসেইন চৌধুরী (12/04/22) ঝলসানো শরীরে সেই শিশুটি পথের পাশে জ্বলন্ত রোদ্দুরে দাঁড়িয়ে আছে --- জানেনা কোথায় তার মা-বাপ কোথায় ঘরবাড়ি একটুকরো রুটি চায় এখনও বাঁচার অধিকার খোঁজে শব্দ আকাশে এখনো বারুদের ধোঁয়া পচা লাশ চারপাশে "কোথা তোর দেশ- এমন করছিস কেন " বলতে পারেনি ভাষাহীন মুক ছোট্ট শিশুটি দেশটির নাম ছিল একদা তেল চুকচুকে ইউক্রেন।

ফ্রেমে বাঁধা সেই ছবি

মোহাজির হুসেইন চৌধুরী একটা জলজ্যান্ত সেই মানুষ এখন একটা ছবি পুরনো ঘরেই বেশ হাঁটাফেরা করে কারো হাত ধরে চলে যায় এদিক সেদিক হাতগুলো কার হয়তো আত্মজার হয়তো কোন পরম প্রিয়ের সহানুভূতির পরম্পরা চলচ্ছবির মতো আধো আলো আধো অন্ধকার সন্তর্পণে চলতে চলতে দেখে চাঁদের জ্যোৎস্নায় মাখা নিমপাতা জল শেষ  সম্বল সারাজীবনের খুঁ ড়ানো ভালবাসা।  বৃক্ষ থেকে নিয়মিত পাতা খসা শেষ আলোর ফোটা ঝরে গেলে এখন ছবিটার চারদিকে কাঁচের ফ্রেম বাঁধা মাঝেমাঝে তাকায় আত্মীয়রা আর বিড়বিড় করে প্রশংসার স্তুতি নেই অশ্রু ভরা চোখ নেই জল অন্ত কাকুতি।